নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরের সাত মাসে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ ছাড়িয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। মহামারির মধ্যে সরকার খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দেয়ায় এই খাতের ঋণ বিতরণ বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, জুলাই থেকে জানুয়ারি সময়ে লক্ষ্যমাত্রার ৬০ ভাগ পূরণ হয়েছে। তবে ঋণ বিতরণ বাড়লেও আদায়ের পরিমাণ কমেছে।
গত কয়েক বছরে নানামুখী উদ্যোগ এবং আধুনিক হওয়ায় দেশের কৃষি খাতে উৎপাদন বেড়েছে কয়েক গুণ। আগে যে সব শাকসবজি দেশে চাষ হত না, বা আমদানি করা হতো, তা এখন দেশেই আবাদ সম্ভব হয়েছে। ফলে খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১০ম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। যেখানে জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত কৃষি ও পল্লীঋণ খাতে ১৭ হাজার ৫৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। অর্থাৎ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে মোট লক্ষ্যমাত্রার ৬০ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ পূরণ হয়েছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মহামারিতে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ কম থাকলেও কৃষি উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। ফলে খাদ্য পণ্য উৎপাদনের জন্য কৃষি প্রণোদনা ঋণসহ স্বাভাবিক ঋণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে সরকার।
কৃষি অর্থনীতিবিদ সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, অনেকে শহর ছেড়ে বা চাকরি হারিয়ে গ্রামে নতুন করে কৃষি কাজ শুরু করেছেন। তাই এই সময়ে বেড়েছে কৃষি ঋণের চাহিদা।
এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে কৃষিঋণ বিতরণ বাড়লেও, সে হারে বাড়েনি আদায়।এ সময়ে বিতরণের বিপরীতে আদায় হয়েছে ১৫ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস, জুলাই-আগস্টে কৃষিঋণ বিতরণ কমেছিল ২১ শতাংশ। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তৃতীয় মাস থেকে অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ৮ ব্যাংকে কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য ১১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা।