• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:৩৫ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ Отзыв о Pinup Wager в мае 2024 года Where To Find Iranian Wives অভয়নগরে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি অভয়নগরে ছাত্র ছাত্রী প্রদর্শনী ক্লাস সবক ও পাগড়ি প্রদান Plinko 2024: Guía para juegos Plinko gratuitos Vietnamese Vs. Thai Mail Order Brides: A Comparative Analysis যশোরের বায়েজীদ হাসান হত্যা মামলার ২ জন পলাতক আসামীকে ঢাকা ভাটারা থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬, যশোর ও র‌্যাব-১ গোপালগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি সবুজ’কে পটুয়াখালী হতে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৬ Mostbet App Download For Android Apk And Ios 2023 Mostbet 314 Casino Azərbaycanda Bukmeker Kontoru Mostbet Azerbaycan Yukle Android Os Apk Və Ios App-d Mostbet Az-90 Kazino Azerbaycan ən Yüksək Bukmeyker Rəsmi Sa 0898520760 ফের আগ্রাসনের চেষ্টা করলে ইসরায়েলকে শক্তিশালী জবাবের হুঁশিয়ার ইরানের গাজায় এক গণকবরেই মিলল ৩০০ লাশ ইসরায়েলের গভীরে হামলার দাবি হিজবুল্লাহর

মোটরসাইকেল আরোহীদের মরণফাঁদ হানিফ ফ্লাইওভার

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত তিন বছরে রাজধানীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন অন্তত ১৩৭ জন, এমনটিই জানিয়েছে পুলিশ। নিহতদের বেশির ভাগই মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী। দুর্ঘটনার মূল কারণ গাড়ির বেপরোয়া গতি এবং ফ্লাইওভারের ওপরে যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করা। তবে সেটা নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই।
মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে এভাবেই মুহূর্তের মধ্যে বেপরোয়া গতি প্রাণ কেড়ে নেয়। যাত্রাবাড়ী ও ওয়ারীর এই চিহ্নিত স্থানগুলো যেন মরণফাঁদ।
পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে ৩৩ জন, ২০২০ সালে ৫৭ জন এবং ২০২১ সালে ৪৭ জন প্রাণ হারান এই ফ্লাইওভারটিতে। নিহতদের বেশির ভাগই মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী। যদিও এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।
১১ দশমিক ৭ কিলোমিটারের এই উড়াল সড়কে টোলপ্লাজা ছাড়া কোথায়ও হাঁটা কিংবা যাত্রী ওঠানামার নিয়ম নেই। এরপরও থেমে নেই যাত্রী ও পথচারীদের চলাচল।
ফ্লাইওভারের ওপরে এক বাসের হেলপার বলেন, জোর করে যাত্রীরা উঠে পড়ে। এরপর আবার এখানে নেমে যায়।
এক যাত্রী বলেন, সব সময়ই সব গাড়ি এই জায়গায় নামায়।
ফ্লাইওভার দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ বলছে, ফ্লাইওভারে উঠলেই বেপরোয়া হয়ে যান চালকরা। ওভারটেকিং করেন ইচ্ছামতো।
মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের হেড অব অপারেশন মো. এরফানুল আজিম বলেন, আমাদের ফ্লাইওভার ডিজাইন করা হয়েছে গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০কিলোমিটার। যেসব জায়গায় বাঁক আছে সেখানে ৪০কিলোমিটার মেইন্টেইন করার কথা। বেশির ভাগ দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে ওভারস্পিডের (অতিরিক্ত গতিবেগের) কারণে। যদি কেউ ঘণ্টায় ১২০কিলোমিটার স্পিডে মোটরসাইকেল চালায়, তাহলে সে বাঁকে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন না এবং দুর্ঘটনায় পতিত হবেন।
তিনি বলেন, ফ্লাইওভারে যাত্রী ওঠানামা কারানোটা আইনের মধ্যে পড়ে না। কিছু কিছু জায়গায় এখনও যাত্রী ওঠানামা হচ্ছে। ওই জায়গাগুলোতে আমাদের লোকবল বৃদ্ধি করেছি, যাতে গাড়িগুলো ওখানে থামতে না পারে।
দুর্ঘটনা রোধে পুরো উড়াল সড়কটি সেফটি অডিট করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, যারা লাইসেন্সড অডিটর তাদের দিয়ে এই অডিট করাতে হবে। যে যে জায়গায় দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে সেসব জায়গায় কারণ বের করে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ফ্লাইওভারে দায়িত্ব পালনের মতো কোনো ব্যবস্থা নেই। শুধু দুর্ঘটনা ঘটলেই সেখানে যান তারা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী বিভাগের ডিসি শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, ফ্লাইওভারের ওপরে পুলিশি টহল আসলে ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ সেখানে অন্যান্য গাড়ির গতির সঙ্গে মিলিয়ে পথটা অতিক্রম করতে হয়। সেখানে গাড়ি কোথাও পার্ক করে রাখতে পারব না, স্লো চালাতে পারব না। সেক্ষেত্রে আমি হয়তো দুর্ঘটনার কারণ হয়ে যাব।
বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.