নিজস্ব প্রতিবেদক : অবশেষে ভাগ্য বদলাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নতুন ১৮ ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। চার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে রোববার। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সড়ক ও ড্রেনেজ নির্মাণের পাশাপাশি প্রকল্পের আওতায় থাকবে প্রায় ১২ হাজার এলইডি সড়কবাতি স্থাপন।
২০১৬ সালে ঢাকার উত্তরে সিটি করপোরেশনের আশপাশের আটটি নতুন ইউনিয়নকে ১৮টি ওয়ার্ডে রূপান্তর করে গঠন করা হয় বর্ধিত ডিএনসিসি।
কাগজে কলমে মহানগরের তকমা পেলেও নতুন এই ১৮ ওয়ার্ডে গত কয়েক বছরেও লাগেনি নগরায়ণের হাওয়া। অবশেষে জট খুলল। এরই মধ্যে একনেকে চার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে ডিএনসিসি। প্রকল্পের আওতায় নতুন এসব ওয়ার্ডে ১৮৩ কিলোমিটরি পাকা রাস্থা নির্মাণ ও উন্নয়ন। ২৩৪ কিলোমিটার স্টর্ম ড্রেন ও উইটিলিটি। জলাবদ্ধতার নিরসনে ২৯ কিলোমিটার খাল উন্নয়ন ও সড়কে বসানো হবে প্রায় বারো হাজার এনইডি বাতি।
উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলছেন, এরই মধ্যে পুরো এলাকার মাস্টারপ্লান প্রস্তুত। সম্পূর্ণ আধুনিক করে গড়ে তোলা হবে এই প্রকল্প। সড়কের সঙ্গেই সমন্বয় করে গড়া হবে ইউটিলিটি সার্ভিস। থাকবে ২৫ শতাংশ সবুজ। নিয়ম মেনে খেলার মাঠ, পার্ক, নানা নাগরিক সুবিধা।
তিনি বলেন, ১৮টি ওয়ার্ডের জন্য নগর পরিকল্পনাবিদদের নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে ফেলেছি। একটি ওয়ার্ডে যা যা থাকার দরকার, যেমন- খেলার মাঠ, পার্ক, ময়লা কোথায় ফেলব, টেকসই রাস্তা, পানি নিষ্কাশন- সবই করা হবে।
অবশেষে সব অঞ্চলে বইছে উন্নয়নের সুভাস। প্রকল্প বাস্তবায়নে ৬৯.৪৮ একর ভূমি অধিকরণ করবে কতৃর্পক্ষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বরাদ্দ পাওয়া এই অর্থ যদি যথাযথ পরিকল্পনা আর তার সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা যায়, তাহলে হয়তো একদিন সত্যি সত্যি পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে এত দিন ধরে অবহেলিত এই জনপদ।
নগরবিদরা বলছেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে থাকতে হবে জোর তদারকি। নগর পরিকল্পনাবিদন ইকবাল হাবীব বলেন, যে কোনো পরিকল্পনার সবচেয়ে বড় সার্থকতা হচ্ছে, সময়োপযোগী এবং সময়নির্ভরতায় কাজটা শেষ করা। প্রকল্পগুলোর দীর্ঘসূত্রিতা এবং প্রকল্প অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়ে বাড়িয়ে স্ফীতিকরণ- এই দুইটা যেন এ ক্ষেত্রে না ঘটে।