যানজট ছাড়াই প্রবেশ করা যাবে রাজধানীতে
নিজস্ব প্রতিবেদক : জুনের মধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে যাত্রাবাড়ী-ডেমরা মহাসড়ক। ৬ লেনের এই প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি প্রায় ৭০ শতাংশ। ইতোমধ্যে কয়েকটি পয়েন্ট যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে, যার সুফল পচ্ছে এলাকাবাসী। রাজধানীকে যানজটমুক্ত করতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ।
রাজধানীর অন্যতম প্রবেশ পথ ডেমরা যাত্রাবাড়ীর ছয় লেন প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা এখন এমন। মহাসড়কের একটি অংশ খুলে দিয়ে যানবাহন চলাচলের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ বছর দুয়েক আগেও যানজট আর জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত ছিল এলাকাটি। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রায় ৩৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয় লেন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর আওতায় ৫ কিলোমিটার সড়ক, ১১টি আন্ডারপাস, ২৬ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু এবং একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে মূল চারলেনের কাজ প্রায় শেষ। সমানতালে চলছে দুটি সার্ভিস লেনের কাজ। তবে জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বাধাগ্রস্ত হয়েছে কিছু অংশের কাজ। জনদুর্ভোগ কমিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে দিনরাত কাজ চলছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান বলেন, প্রকল্পটি আগামী জুন পর্যন্ত বর্ধিত করার প্রস্তাব দিয়েছি। করোনার কারণে আমাদের গতি ধীর হলেও থেমে থাকেনি। এটি মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার থেকে ঢাকা-সিলেট হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত করবে। জাতীয় হাইওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে এই সড়কটি করা হচ্ছে।
উন্নয়ন যন্ত্রণা থেকে ডেমরাবাসীকে মুক্তি দিতে দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদ দেন এই নগরবিদ।
নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, স্ট্রেটিজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানে প্রস্তাবিত তিনটি রিং রোড, আটটি রেডিয়েল রোড-এই কাজগুলো যদি হয়ে যায় তাহলে ঢাকার সঙ্গে আশপাশের জেলাগুলোর বেশ ভালো যোগাযোগ তৈরি হবে। সহজে মানুষ ঢাকাতে আসতে পারবে এবং বাইরে চলে যেতে পারবে। এটা আমাদের ঢাকা শহরের জন্য ভালো কিছু হতে যাচ্ছে।
যাত্রাবাড়ী-ডেমরা ৬ লেন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এ পথে নির্বিঘেœ রাজধানীতে প্রবেশ ও বের হওয়া যাবে বলে মনে করে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, সবক্ষেত্রেই কোভিডের প্রভাব পড়েছে। আমারা মেয়াদ অনুযায়ী শুরু করতে পারিনি। কিন্তু আমাদের কার্যক্রম চলছে। আমাদের এই সরকার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সহায়ক কার্যক্রম চলছে।
যাত্রাবাড়ী-ডেমরার মতো চলমান মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলে রাজধানীর সড়কের স্থবিরতা অনেকটাই দূর হবে বলে মনে করে কর্তৃপক্ষ।