করোনা মোকাবেলা এবং করোনা মহামারী রোধে সরকারের সার্বিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেয় এক শ্রেণীর মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ী করোনা চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত মেডিক্যাল অক্সিজেন এবং এই সংক্রান্ত ওষুধের বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে চলেছে। ভোক্তারা প্রকৃত দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে এসব পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছে। যা করোনায় বিপর্যস্ত মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে। মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা বহুগুণে বাড়ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী।
করোনা মহামারীতে হুজুগে পড়ে ঘরে ঘরে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুদের ঘটনায় বাজারে প্রাণরক্ষাকারী এ পণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সুযোগ বুঝে সিন্ডিকেট করে দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়ে দিয়েছে একটি মুনাফালোভী অসাধু চক্র। ১০ হাজার টাকার সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকায়। এই সুযোগে বাজার ছেয়ে গেছে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের সিলিন্ডারে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ব্যতিরেকে নিম্নমানের এবং নির্ধারিত মাত্রার কমবেশি অক্সিজেন প্রয়োগে ঘটছে বিষক্রিয়া এবং নানা দুর্ঘটনাও। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস মহামারীতে চাহিদা বেড়ে যাওয়া অক্সিজেনসহ পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ, মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও এসবের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের গতকাল একটি উকিল নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো: মনিরুজ্জামান লিংকন।
ইতিমধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যেই মাঠে নেমেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ চিকিৎসা সামগ্রীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও দাম বৃদ্ধি অপরাধে দুই ব্যবসায়িকে চার লাখ ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। তবে, কালোবাজারীদের কোটি কোটি টাকার বিপরিতে এই অর্থদন্ড খুবই অপ্রতুল। বৈশ্বিক এই করোণা দূর্যোগকে পুঁজি করে যে সব অসাধু ব্যবসায়ী তাদের অমানবিক ও অনৈতিক কার্য্যক্রম চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে জরুরীভাবে জাতীয় সংসদ কর্তৃক আরো কঠোর আইন করা আবশ্যক।