করোনামুক্ত হয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তার করোনামুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন গণস্বাস্থ্য কিট উদ্ভাবক দলের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ করোনামুক্ত। উনি ভাইরাস নেগেটিভ এবং এন্টিবডি পজিটিভ। হাসপাতাল থেকে গতকাল তিনি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করে দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন।
গেল ২৫ মে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। প্রথমে গণস্বাস্থ্যের কিটের পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরীক্ষাতেও একই ফলাফল আসে।
অনুরুপভাবে দেশের সবচেয়ে আলোচীত করোনাযোদ্ধা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ করোনামুক্ত হয়েছেন। করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন, সৎকারসহ নানা মহৎ উদ্যোগে এগিয়ে আসা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ করোনামুক্ত হয়েছেন। রোববার দুপুরে শহরের খানপুর এলাকায় ৩০০ শয্যা হাসপাতালের করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পাঠানো রিপোর্টে তার কোভিড-১৯ নেগেটিভ এসেছে বলে মিডিয়াকে জানিয়েছেন তিনি।
গত ৩০ মে আইইডিসিআর থেকে পাঠানো রিপোর্টে তার কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে গতকাল শনিবার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন কাউন্সিলর খোরশেদ।
গত ৮ মার্চ থেকে করোনা সচেতনতায় লিফলেট, হ্যান্ড স্যানেটাইজার, খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে আসছেন খোরশেদ। নতুন করে প্লাজমা ডোনার সংগ্রহ ও বিতরণে সহযোগিতা, অক্সিজেন সহায়তা, ভর্তুকি মূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন। যার মধ্যে ২৮ টাকা হালির ডিম ১২টাকায় বিক্রি কার্যক্রম ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।
এছাড়াও গত ৮ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত, উপসর্গ আছে ও স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এমন ৮১ জনের মরদেহ দাফন ও শেষকৃত্যের কাজ করেছেন তিনি। যার মধ্যে বেশ কয়েকজনের শেষকৃত্যের জন্য পরিবার, আত্মীয় স্বজন কিংবা প্রতিবেশী কেউ এগিয়ে আসেনি। সেইসব লাশ দাফন ও সৎকার করে দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন খোরশেদ।