• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ যশোরের বায়েজীদ হাসান হত্যা মামলার ২ জন পলাতক আসামীকে ঢাকা ভাটারা থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬, যশোর ও র‌্যাব-১ গোপালগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি সবুজ’কে পটুয়াখালী হতে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৬ Mostbet App Download For Android Apk And Ios 2023 Mostbet 314 Casino Azərbaycanda Bukmeker Kontoru Mostbet Azerbaycan Yukle Android Os Apk Və Ios App-d Mostbet Az-90 Kazino Azerbaycan ən Yüksək Bukmeyker Rəsmi Sa 0898520760 ফের আগ্রাসনের চেষ্টা করলে ইসরায়েলকে শক্তিশালী জবাবের হুঁশিয়ার ইরানের গাজায় এক গণকবরেই মিলল ৩০০ লাশ ইসরায়েলের গভীরে হামলার দাবি হিজবুল্লাহর বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক দুর্নীতির একটা সীমা থাকে, এটা সাগরচুরি বেনজীরের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট প্রভাবমুক্ত থেকে দুদককে অনুসন্ধান করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের বৈঠক কাতারের সঙ্গে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই

পর্যাপ্ত পানি পানের অভাবে শরীরে কী সমস্যা হয়

লাইফ স্টাইল ঠান্ডা আবহাওয়ায় পানি পিপাসা কম অনুভূত হয়। ফলে পানি কম খাওয়া হয়। এতে শরীরে পানির ঘাটতি হয়। শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে শরীর নানা প্রতিক্রিয়া দেখায়। এসব প্রতিক্রিয়া মৃদু থেকে গুরুতর পর্যন্ত হতে পারে। শরীরে পানির ঘাটতি হলে কিছু লক্ষণ ফুটে ওঠে। যেমন-

পানিশূন্যতা : পর্যাপ্ত পানি পান না করলে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। এর ফলে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয় এবং শারীরিক কার্যকারিতা ব্যাহত হয়। হালকা পানিশূন্যতা হলে বারবার পিপাসা লাগে, মুখ শুকিয়ে যায় এবং প্রস্রাব গাঢ় রঙ ধারন করে। গুরুতর পানিশূন্যতা হলে মাথা ঘোরা, বিভ্রান্তি, দ্রুত হৃদস্পন্দন এবংএমনকী অজ্ঞান পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

মনোযোগ কমে যায়: শরীরে পানিশূন্যতা হলে মনমেজাজ খারাপ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে,পানিশূন্যতা ঘনত্ব হ্রাস, স্বল্পমেয়াদী স্মৃতি সমস্যা, উদ্বেগ এবং ক্লান্তির অনুভূতি বাড়াতে পারে। কারণ পানিশূন্যতা হলে মস্তিষ্কে রক্ত ​​প্রবাহ কমে যায়। এর প্রভাব সারা শরীরে পড়ে। 

দ্রুত ক্লান্তি : পানিশূন্যতার ফলে শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে যায় । এজন্য শরীরে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ ব্যাহত হয়।  এর ফলে কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। অতিরিক্ত ডিহাইড্রেশন হলে শারীরিক পরিশ্রমের সময় পেশি ক্র্যাম্প, ক্লান্তি এবং হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।

হজমের সমস্যা : পানি হজম এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরে পানিশূন্যতা হলে হজমের সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজম হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী ডিহাইড্রেশন গ্যাস্ট্রাইটিস এবং আলসারের মতো আরও গুরুতর হজমসংক্রান্ত সমস্যা বাড়াতে পারে। 

কিডনির সমস্যা : কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ ফিল্টার এবং শরীরের তরল ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। শরীর পর্যাপ্ত পানি না পেলে কিডনি ভালোভাবে কাজ করতে পারে না, যার ফলে প্রস্রাবের প্রবাহ কমে যায়। সময়ের সাথে সাথে, দীর্ঘস্থায়ী ডিহাইড্রেশন কিডনিতে পাথর, মূত্রনালীর সংক্রমণ এবং কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

অস্বাস্থ্যকর ত্বক : স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখার জন্য সঠিক হাইড্রেশন অপরিহার্য। শরীর ডিহাইড্রেট হলে ত্বক স্থিতিস্থাপকতা এবং আর্দ্রতা হারায়, যার ফলে ত্বক শুষ্ক এবং নিস্তেজ হয়ে যায়। দীর্ঘস্থায়ী ডিহাইড্রেশন ত্বকে একজিমা এবং ব্রণ বাড়িয়ে তুলতে পারে। সেইসাথে ত্বকের বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে। 

ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা : সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং ক্লোরাইডের মতো ইলেক্ট্রোলাইটগুলি হল প্রয়োজনীয় খনিজ যা শরীরের তরল ভারসাম্য, স্নায়ু ফাংশন এবং পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। পানির ঘাটতি হলে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়তে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি ঘাম বা বমির মাধ্যমে তরল হারান তাহলে এই ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর ফলে পেশি দুর্বলতা, ক্র্যাম্প, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, এমনকি গুরুতর ক্ষেত্রে খিঁচুনি হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়: মূত্রনালীর স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য পর্যাপ্ত পানি পান গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন পর্যাপ্ত পানি পান করেন না, তখন প্রস্রাব আরও ঘনীভূত এবং অ্যাসিডিক হয়ে যায়, যা  মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই) বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রচুর পানি পান করলে ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালী থেকে বের হয়ে যায় এবং প্রস্রাব পাতলা করে,এতে ইউটিআইয়ের ঝুঁকি কমে।

ইমিউন ফাংশন : শরীরের ইমিউন ফাংশন ঠিক রাখতে, সংক্রমণ এবং অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হাইড্রেশন গুরুত্বপূর্ণ। ডিহাইড্রেশন ইমিউন কোষ এবং অ্যান্টিবডিগুলির উৎপাদন হ্রাস করে ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করতে পারে। যার ফলে শরীরে সহজেই ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী ডিহাইড্রেশন শরীরের ক্ষত নিরাময় এবং অসুস্থতা থেকে থেকে সুস্থ হওয়ার ক্ষমতাকেও ব্যাহত করতে পারে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.