বিশেষ প্রতিনিধি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ডিএমপির প্রতিটি সদস্যের তৎপরতার কারণেই এবার রমজান, ঈদ ও বাংলা নববর্ষে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কোনো প্রকার চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো অপতৎপরতা চোখে পড়েনি। আমি আমার সহকর্মীদের নিয়ে গর্বিত।
সোমবার ডিএমপি সদরদপ্তরে পবিত্র ঈদুল ফিতর পরবর্তী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে ডিএমপি সদরদপ্তরে কর্মরত সব পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারী, দাপ্তরিক কর্মচারী এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ডিএমপি কমিশনার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) একেওম হাফিজ আক্তর, অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ডিএমপিতে প্রায় ৩৪ হাজার সদস্য কর্মরত রয়েছেন। এটা শুধু পুলিশের জন্য নয়, এটা সমগ্র দেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়। একসঙ্গে এত অফিসার ও ফোর্স বাংলাদেশের আর কোনো প্রতিষ্ঠানে নেই। আমরা একসঙ্গে একটি টিম হয়ে কাজ করি। ঢাকা মহানগরীতে যে দুই কোটি লোক বসবাস করে তাদের নিরাপত্তা দিতে ডিএমপির প্রতিটি সদস্য কাজ করেন।
তিনি বলেন, রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে পুলিশের তৎপরতায় ঢাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা, অজ্ঞান ও মলম পার্টির কোনো অপতৎপরতা চোখে পড়েনি। আমি অবশ্যই আমার সহকর্মীদের নিয়ে গর্ববোধ করি। কারণ সচরাচর অতীতে যে ধরনের অপরাধ সংগঠনের কথা শুনে এসেছি, তার একটি অপরাধও এবারের রমজানে ঘটেনি। সেই সঙ্গে সদ্য সমাপ্ত পহেলা বৈশাখের নানা অনুষ্ঠান আয়োজন হয়েছে, সেখানেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সবগুলো অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে ডিএমপির প্রতি নগরবাসীর যে প্রত্যাশা তার পুরোপুরি পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।
হাবিবুর রহমান বলেন, এবারের রমজানে কাজ শেষে নগরবাসীর বাসায় ইফতার করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অতীতে দেখেছি লোকজনকে রাস্তায় ইফতার করতে। অন্যান্য যেকোনো বারের চেয়ে এবার ট্র্যাফিক পুলিশের পাশাপাশি ক্রাইম বিভাগের তৎপরতার ছিল। এতে রোজাদাররা বাসায় গিয়ে ইফতার করতে পেরেছেন। অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার ও উপ-কমিশনার সবাই দায়িত্ব পালন করেছেন, অনেকেই রাস্তায়ই ইফতার করেছেন। এজন্য ডিএমপির ট্র্যাফিক বিভাগের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।