সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ২০১৯ সালের অক্টোবরে মিলনায়তনটি উদ্বোধন করলেও ইজারা দেওয়া হয়নি। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে মিলনায়তনটি বন্ধ ছিল। বন্ধ থাকার সময় মিলনায়তনটির কোনো পরিচর্যা করা হয়নি। পাশাপাশি নির্মাণত্রুটি এ অবস্থার একটি কারণ।ইজারাদার নুর-নাজ-নোহা অ্যাসোসিয়েটসের মালিক ঢাকা উত্তর সিটির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুজিব সারোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা একপ্রকার পরিত্যক্ত স্থাপনা ইজারা পেয়েছি। নিজেরা যতটুকু পারছি ঠিকঠাক করে ভাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছি।সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনভেনশন সেন্টারটি গাবতলী থেকে দিয়াবাড়ি যেতে বেড়িবাঁধ সড়কের পাশে অবস্থিত। এর উল্টোদিকে তুরাগ নদ। সরেজমিনে ১৫ সেপ্টেম্বর গিয়ে দেখা যায়, মিলনায়তনের ওপর খোলামেলা ছাদের পুরোটাই টাইলস করা। সাধারণত ছাদের মাঝখানের অংশ একটু উঁচু করে তৈরি করা হয়, যাতে পানি না জমে। তবে এই মিলনায়তনের ছাদে পানি জমে থাকে। মিলনায়তনটি পুরোদমে এখনো চালু হয়নি। নতুন করে মেরামতের উদ্যোগ। * পাঠাগারে বই নেই। চেয়ার-টেবিল ও আলমারি আছে।
গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় গিয়ে দেখা গেল, জায়গাটি টালির টাইলস বসানো। তবে কয়েকটি স্থানে টাইলস ভেঙে মাটি দেবে গেছে, তৈরি হয়েছে বড় গর্ত। জেলা পরিষদ থেকে নিয়োগ দেওয়া তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, পার্কিং এলাকার বৃষ্টির পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। এ কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে।ইজারা নেওয়া প্রতিষ্ঠানটি বলছে, জেলা পরিষদের কাছে সমস্যার বিষয়গুলো লিখিত জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে জেলা পরিষদের প্রকৌশল শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, ইজারাদারের কাছ থেকে লিখিত কোনো আবেদন তাঁরা পাননি। অবশ্য মিলনায়তনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।