করোনাভাইরাসের ঝুঁকি আছে জেনেও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন দেশের লক্ষাধীক পল্লী চিকিৎসকরা। সে কারণে দিনকে দিন তাদের কাছে যাওয়া রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। করোনা-ঝুঁকি আছে জেনেও শুধুমাত্র নামমাত্র ভিজিট নিয়ে এই সমস্ত পল্লী চিকিৎসকরা মানবিক কারণে সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থেকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে চলেছে। তাদের কোনো সুরক্ষা সরঞ্জাম নেই। বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর লোকজন গেলে তারা তাদের কাছে করণা প্রতিরোধী পিপিই কিনে নেওয়ার কথা বললেও পাচ্ছে না। তথাপী করোনা-ঝুঁকিতে তাদের কেউই চিকিৎসাসেবা দিতে কোন গড়িমমসি করছে না। বরং আগের চেয়ে তাদের সেবা দেওয়ার পরিমাণ আরও বেড়ে গিয়েছে। শহুরে নামকরা ডাক্তাররা যখন সাধারণ রোগীদের ধরা ছোয়ার বাইরে তখন এইসব পল্লীচিকিৎসকদের কাছেই সাধারণ চিকিৎসা প্রথ্যাশীরা ভিড় করছেন । কারণ, তাদের বেশিরভাগই পরিচিত জন, আশপাশেরই বসবাস করেন। প্রবল ঝুঁকি মনে করলেও কাউকে তারা না বলতে পারেন না।
দেশের বড় বড় হাসপাতাল, ক্লিনিকে বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দিতে চিকিৎসকের অনীহা দেখালেও ঠিক তার উল্টো চিত্র গ্রম্য পল্লী চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতে। নেই কোন সুরক্ষা বা সরকারী প্রনোদনা। তারপরও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবায় কোনো অনীহা নেই।
গ্রামের সাধারণ মানুষের বক্তব্য: আমরা শহরের বড় বড় হাসপাতাল, ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে এখন আর আগের মত চিকিৎসক থাকে না, আর থাকলেও তারা এখন চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না। ক্লিনিকে যেয়ে চিকিৎসা সেবা না পেলেও আমাদের গ্রামের পল্লী চিকিৎসকদের কাছ থেকে ঠিকই চিকিৎসাসেবা পাচ্ছি। এখন পল্লী চিকিৎসকরাই আমাদের একমাত্র ভরসাস্থল।
অরুণ নামের জনৈক পল্লী চিকিৎসক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ ও মেডিসিন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেও পিপিই পাচ্ছি না। আর যেহেতু ব্যক্তিগত ব্যয়ে পিপিই কেনার সামর্থ্য অনেক পল্লী চিকিৎসকদের নেই, তাই বাধ্য হয়েই সুরক্ষা ছাড়া সাধারণ মানুষদেরকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে চলেছেন। বলতে গেলে এই করোনা দুর্যোগের মধ্যেই সারাদেশের পল্লী চিকিৎসকরা চরম ঝুঁকি নিয়েই চিকিৎসকসেবা দিলেও আমাদের জন্য নেই কোন সরকারী প্রণোদনা।